আন্তর্জাতিক

 

বাইডেন ছেলেকে ক্ষমা করে ‘বিচারের গর্ভপাত’ করেছেন: ট্রাম্প

 

আন্তর্জাতিক ডেস্ক

প্রকাশ: ০২ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৩:৪৭ পিএম


বাইডেন ছেলেকে ক্ষমা করে ‘বিচারের গর্ভপাত’ করেছেন: ট্রাম্প

সংগৃহীত

আগামী ২০ জানুয়ারি আনুষ্ঠানিকভাবে মার্কিন প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব নেবেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। তবে তার আগে বর্তমান প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের সমালোচনা করতে পিছুপা হচ্ছেন না এই রিপাবলিকান। নিজের ছেলেকে ক্ষমা করায় বাইডেনের তীব্র নিন্দা করেছেন ট্রাম্প। তার মতে, বাইডেনের এমন সিদ্ধান্ত ‘বিচারের গর্ভপাতের’ সামিল।

প্রেসিডেন্ট বাইডেনের ছেলে হান্টার বাইডেন অস্ত্র আইন ও কর ফাকির অভিযোগে দোষী সাব্যস্ত হয়েছিলেন। তবে বাইডেন তাকে ক্ষমা করে দেন। যা নিয়ে প্রশ্ন তুলে এটিকে বিচারের গর্ভপাত বলে অভিহিত করেছেন ট্রাম্প। সামাজিকমাধ্যম ট্রুথ সোশ্যালে এক পোস্টে এমন মন্তব্য করেন ট্রাম্প।

ট্রাম্প বলেন, ‘জো হান্টারকে দেওয়া ক্ষমার মধ্যে কি J-6 জিম্মিদের অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। তারা এখনও বছরের পর বছর ধরে কারাবন্দি? এটি ন্যায়বিচারের অপব্যবহার এবং গর্ভপাত!’

J6 জিম্মি মূলত তারা- যারা ২০২১ সালের ৬ জানুয়ারি ক্যাপিটাল হিলে হামলা চালিয়ে গ্রেফতার হয়েছিলেন। যে কারণে এখনও কারাভোগ করতে হচ্ছে তাদের। ট্রাম্পের মতে, ক্যাপিটাল হিলে হামলা চালানো ব্যক্তিরা শান্তিপূর্ণ ছিল এবং তারা দেশপ্রেমিকের মতো কাজ করেছে।

অবশ্য একটা ধারণা এর মধ্যেই করা যাচ্ছে, সেটি হলো ট্রাম্পের হয়ে সেদিন যারা ক্যাপিটাল হিলে হামলা চালিয়ে ছিলেন; বর্তমানে তারা কারাবন্দী থাকলেও ট্রাম্প ক্ষমতা গ্রহণের পরপরই তারা ছাড়া পাবেন। প্রেসিডেন্ট হিসেবে তিনি তাদের ক্ষমা ঘোষণা করবেন। সেই সঙ্গে পরবর্তীতে পুরস্কারও দিতে পারেন।

এর আগে, রোববার ছেলে হান্টারকে ক্ষমা ঘোষণা করে একটি স্বাক্ষর করেন প্রেসিডেন্ট বাইডেন। যার ফলে হান্টার তার অপরাধের শাস্তির মুখোমুখি হবেন না। সেই সঙ্গে তাকে কারাগার থেকে মুক্তি দেওয়া হবে। যা নিয়েই সামাজিক মাধ্যমে ক্ষোভ ঝেড়েছেন ট্রাম্প।

এদিকে এক বিবৃতিতে ছেলেকে ক্ষমা ঘোষণার পক্ষে যুক্তি দিয়ে বাইডেন বলেন, ‘আজ, আমি আমার ছেলে হান্টারের জন্য ক্ষমার একটি স্বাক্ষর করেছি। যেদিন আমি দায়িত্ব গ্রহণ করেছি, আমি বলেছিলাম যে আমি বিচার বিভাগের সিদ্ধান্ত গ্রহণে হস্তক্ষেপ করব না এবং আমি আমার কথা রেখেছি। যদিও আমি আমার ছেলেকে অন্যায়ভাবে বিচারের সম্মুখীন হতে দেখেছি।’

বাইডেন আরও বলেন, ‘অপরাধে অস্ত্র ব্যবহার কিংবা একাধিক অস্ত্র কেনাকাটা উত্তেজক কারণগুলি ছাড়া, কখনওই কাউকে অপরাধের বিচারে আনা হয় না। যারা যৌক্তিক কারণে তাদের ট্যাক্স পরিশোধ করতে দেরি করেছিল কিন্তু তাদের জন্য সাধারণত নন-ক্রিমিনাল রেজোলিউশন দেওয়া হয়, কিন্তু এখানে সেটি হয়নি। তার মামলার অভিযোগগুলি তখনই আসে যখন কংগ্রেসে আমার বেশ কয়েকজন রাজনৈতিক প্রতিপক্ষ আমাকে আক্রমণ এবং আমার নির্বাচনের বিরোধিতা করার জন্য প্ররোচিত করা হয়েছিল।’

Post a Comment

Previous Post Next Post